বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
চুরির অপবাদ দিয়ে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে চোখে মরিচের গুড়া মাসুদ শেখ নামে এক কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় ওই কিশোরকে বর্তমানে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাতে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পশ্চিম বালিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কিশোর মাসুদ উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন শেখের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, টাকা চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ওই গ্রামের নারী ইউপি সদস্য লাকি বেগম, তার স্বামী আনোয়ার হোসেন ও ফয়সালের দলবল মাসুমকে রাতভর নির্যাতন করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মাসুমকে উদ্ধার করেন তার মা। এ সময় কারো কাছে বিচার দিলে জানে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।
নির্যাতনের শিকার কিশোর মাসুম শেখ জানায়, আমি অনেকদিন ধরে লাকি মেম্বারের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করি। শুক্রবার ফয়সাল আমাকে লাকি মেম্বারের বাড়ি থেকে ৩৮০ পিস ইয়াবা নিয়ে আসতে বলেন। আমি ওই ইয়াবাগুলো ফয়সালের কাছে এনে দিলে তিনি তা বিক্রি করার পরে বাকিগুলো আমাকে আনোয়ারের দোকানের পিছনে রাখতে বললে আমি রেখে আসি। পরে সেখানে ওই ইয়াবা না পাওয়ার কারণে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে আমার চোখে মরিচের গুড়া দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লাকি মেম্বার বলেন, জমি রেজিস্ট্রির জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘরে রাখি। সেই টাকা চুরি করায় জিজ্ঞাসাবাদ করা জন্য মাসুমকে বাড়িতে ডেকে আনা হয় এবং টাকা উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন ধরনে ভয়ভীতি দেওয়া হয়।
একই এলাকার বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতি বলেন, ফয়সালসহ তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও জুয়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মাসুমকে তারা ৩৮০ পিস ইয়াবা দোকানের পিছনে রাখতে দিয়েছে। সেই ইয়াবা হারিয়ে যাওয়ায় চুরি অপবাদ দিয়ে তার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, ওই কিশোরকে নির্যাতনের মৌখিক কথা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।